আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড: আদালতে তিন দিনে ১৬ জনের সাক্ষ্য
মাগুরার বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিনে আরও ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তিন দিনে মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের বাইরে মেয়েটির বোন হামিদাকে জিজ্ঞাসাবাদের আহ্বান জানান, যার ফলে মামলাটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে নতুন এক রহস্যে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন আছিয়ার বড় বোন মোছা. হামিদাসহ আরও ৯ জন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলামও।
আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সামনে হিটু শেখ দাবি করেন, “আমার ছেলের বউ হামিদাকে ধরেন, সবকিছু সে জানে। সঠিক তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে।” আগের দিন সোমবারও একই দাবি করেন তিনি।
এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহমেদ অভিযোগ করেন, মামলার এজাহার ও চার্জশিটে সময়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অসঙ্গতি রয়েছে। এজাহারে রাত ১:৩০ মিনিটে ঘটনার কথা বলা হলেও তদন্তে সময় উল্লেখ করা হয়েছে সকাল ৮:২০ থেকে ৯:৩০ মিনিটের মধ্যে। এতে মামলার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, “হিটু শেখ, তার স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং দুই ছেলে সজিব ও রাতুলের উপস্থিতিতেই সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছে। বুধবার চিকিৎসক-নার্সসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, ৬ মার্চ মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আছিয়া। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
১৫ মার্চ প্রধান আসামি হিটু শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও বর্তমানে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন। মামলাটি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ও জিজ্ঞাসা দিন দিন বাড়ছে।