আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বেড়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে অনিশ্চয়তায় বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের ভূরাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ক্রমে বাড়ছে আপৎকালীন বিনিয়োগ খাত স্বর্ণের চাহিদা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার মূল্যবান ধাতুটির বাজার রেকর্ড সর্বোচ্চ অবস্থান অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার(১ এপ্রিল) গতকালও তা অব্যাহত ছিল।

স্পট মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম বেড়েছে দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ১৩৫ ডলার ৩২ সেন্টে। এদিন বেচাকেনার শুরুতে এটি আউন্সপ্রতি রেকর্ড ৩ হাজার ১৪৮ ডলার ৮৮ সেন্টে পৌঁছেছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ১৬৪ ডলার ৫০ সেন্টে স্থির হয়েছে।

অনলাইন বাজার বুলিয়ন ভল্টের হেড অব রিসার্চ অ্যাড্রিয়ান অ্যাশ বলেন, ‘শুল্ক আরোপ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের অস্থিতিশীল অবস্থান স্বর্ণের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান দাম পাঁচ বছর আগের কভিড-১৯ মহামারীর সময়কেও ছাড়িয়ে গেছে।’

এদিকে সোমবার মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা ৩৫ শতাংশ আছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে, এর আগে যা ছিল ২০ শতাংশ। এছাড়া মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার আরো কমাতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

উল্লেখ্য, ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আপৎকালীন বিনিয়োগ খাত হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ে। এছাড়া সুদহার কমলেও মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

এর আগে গোল্ডম্যান স্যাকস স্বর্ণের দাম নিয়ে পূর্বাভাস আবার সংশোধণ করেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিসার্চ নোটে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২৫ সালের শেষের দিকে মূল্যবান ধাতুটির গড় দাম পৌঁছতে পারে আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩০০ ডলারে, এর আগে দেয়া পূর্বাভাসে যা ছিল ৩ হাজার ১০০ ডলার। এ সময় স্বর্ণ বেচাকেনা হতে পারে ৩ হাজার ২৫০ থেকে ৩ হাজার ৫২০ ডলারে। আগে দেয়া পূর্বাভাসে এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ ডলার।

বিনিয়োগ ব্যাংকটি জানায়, এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণের রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আগামী তিন- ছয় বছর পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ক্রয় অব্যাহত রাখবে। এ সময় প্রতি মাসে ব্যাংকগুলো মোট ৭০ টন স্বর্ণ আমদানি করতে পারে। আগে দেয়া পূর্বাভাসে এটি ছিল ৫০ টন।