নির্বাচনের আগে দেশ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘যারা জালেম, যারা বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে তাদের অবশ্যই বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হতে হবে। বিচারের আগে তাদের নির্বাচনের কোন প্রশ্নই আসতে পারে না। আগে বিচার, তারপর নির্বাচন। একই কায়দায় বাংলাদেশে সত্যিকার যদি সুন্দর একটা নির্বাচন ব্যবস্থা পেতে হয়, তাহলে আমাদেরকে আগে সংস্কার করতে হবে। সংস্কার করা ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন ভাল হবে না।’
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে গোপালগঞ্জের শহরের মিয়াপাড়া এলাকায় জেলা জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ জেনে হোক, না জেনে হোক বা তাদের বিভিন্ন চিন্তার কারণে হোক তারা তাড়াতাড়ি নির্বাচন চায়। দ্রুত নির্বাচন করতে গিয়ে যদি তা নির্বাচনের মতো না হয় সেটা জাতির জন্য অমঙ্গল হবে। যে কারণে আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করলাম সেই আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।’
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে চরিত্রের দিক থেকে ধ্বংস করে ফেলেছিল। তারা চোর শুধু থাকলো না, এরা ডাকত হলো, শুধু ডাকাত থাকলো না, এরা খুনি হয়েছে, মানুষকে খুন করেছে। এরা ধর্ষণ করেছে, ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছে। এক’শ নারীকে একাই ধর্ষণ করে তা আবার নির্লজ্জের মতো প্রচার করেছে, আওয়ামী লীগ তাদের প্রটেকশন দিয়েছে। আর তাদের নাম হয়েছে সোনার ছেলে।
গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ- ১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হামিদ, ২ আসনের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন সরদার ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আল মাসুদ খান।
সমাবেশে জেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক ফজলুল হক, শ্রমিক সম্পাদক শমসের আলী মোল্যা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্যা, প্রকাশনা সম্পাদক শওকাত আলম আজাদ ছাড়াও জেলার সব উপজেলার আমির, নায়েবে আমির ও সেক্রেটারিসহ জেলার শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।