ইরানের বিরুদ্ধে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি যুক্তরাষ্ট্রের
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সংলাপ চলার মাঝেই হঠাৎ করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ওয়াশিংটন। ইরানের সামরিক গবেষণা সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ডিফেন্সিভ ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ (SPND)-এর সঙ্গে যুক্ত তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এদের প্রত্যেকেই ইরানের পরমাণু কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত। নিষেধাজ্ঞার আওতায় তাদের সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশসহ কোনো মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, “ইরান ক্রমাগত তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির পরিধি বাড়াচ্ছে এবং এমন সব গবেষণায় লিপ্ত যা দ্বৈত-ব্যবহারের, অর্থাৎ বেসামরিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই কাজে লাগতে পারে।” তিনি আরও জানান, “ইরানই একমাত্র দেশ যাদের নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র না থাকলেও ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ রয়েছে।”
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ‘জ্যাকোপা’ চুক্তির মাধ্যমে পরমাণু সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে এই চুক্তি থেকে সরে যান, যার পর ইরান পুনরায় তাদের কর্মসূচি জোরদার করে।
বর্তমানে, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে চিঠি দিয়ে সরাসরি সংলাপের আহ্বান জানান। এই প্রেক্ষাপটে কাতারের দোহায় ওয়াশিংটন-তেহরান সংলাপ শুরু হয়, যেখানে ওমান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
সোমবার সংলাপের চতুর্থ রাউন্ড শেষ হওয়ার ঠিক পরদিনই নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে, যা বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনায় উত্তেজনার সঞ্চার করতে পারে।