ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা অঞ্চলের বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই পরিকল্পনায় গাজা দখল করা এবং সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী স্থায়ীভাবে অবস্থান নেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এতে গাজার ২.১ মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ দিকে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যা মানবিক সংকট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনাকে “ভালো পরিকল্পনা” বলে উল্লেখ করেছেন, যা হামাসকে পরাজিত করতে এবং গাজার বন্দীদের মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। কিন্তু, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলি এই পরিকল্পনাকে মানবিক নীতির লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে এবং তারা সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। হামাস এই পরিকল্পনাকে “রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইল” বলে মন্তব্য করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লক্ষ লক্ষ রিজার্ভিস্টকে ডাকছে গাজায় তাদের অভিযান বাড়ানোর জন্য, এবং সেনাবাহিনী আরও শক্তিশালী হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্যরা মনে করছেন, হামাস যদি তাদের সিরিয়াসভাবে গ্রহণ করে, তাহলে কিছু বন্দি মুক্তির একটি সুযোগ থাকতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, গাজার জনগণের খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ওয়্যারহাউসগুলি খালি হয়ে গেছে এবং একে একে কমিউনিটি কিচেনগুলিও সরবরাহহীন হয়ে পড়েছে। সাহায্য পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েলি সরকারের নতুন পরিকল্পনা মানবিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।