
নিউজ ডেস্ক, নর্থ নিউজ ডট লাইভ। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে আবারও প্রবাসী আয়ের জোয়ার! চলতি জুন মাসের প্রথম ৩ দিনেই দেশে এসেছে ৬০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই–মে) ১১ মাসে মোট রেমিট্যান্স দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। গত বছর এই সময়ে আয় এসেছিল ২১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
এ প্রসঙ্গে জানা গেছে, রোজার ঈদে যেখানে ৩২৯ কোটি ডলার এসেছিল, সেখানে কোরবানির ঈদ ঘিরেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মে মাসে প্রবাসী আয় ছিল ২৯৭ কোটি ডলার, এপ্রিল মাসে কিছুটা কমে ২৭৫ কোটি হলেও সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভও বেড়ে এখন ২৬.০৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে (BPM6 অনুযায়ী ২০.৭৬ বিলিয়ন ডলার)। ব্যাংকারদের মতে, বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে প্রণোদনা, চোরাপথে রেমিট্যান্স বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা, এবং ঈদ কেন্দ্রিক প্রবাসীদের অর্থ প্রেরণের মানসিকতা—সব মিলিয়ে এই প্রবৃদ্ধি ঘটছে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা দরে ডলার কিনলেও খোলাবাজারে তা ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডলারের সংকট অনেকটাই কেটে গেছে বলে মনে করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসানের পর প্রবাসীরা টানা ৭ মাস ধরে গড়ে মাসে ২০০ কোটির বেশি ডলার পাঠাচ্ছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার—যা আগের বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রপ্তানির তুলনায় প্রবাসী আয় অধিক কার্যকর কারণ এর বিপরীতে বিদেশি ব্যয় নেই। ফলে এই আয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দ্রুত বাড়ে এবং ডলার চাপ কমে।