ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ উপকূল অতিক্রম করে সাতক্ষীরা এলাকায় স্থলভাগে অবস্থান নিয়েছে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে এর ভয়াল প্রভাবে দেশের অন্তত ১৪টি উপকূলীয় জেলা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় দিন পার করছে। একই সঙ্গে ফেনী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি সাতক্ষীরা অঞ্চলে স্থলভাগে ছিল এবং আজ শুক্রবার ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে উপকূলজুড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে বহু নিচু এলাকা। সুন্দরবনের বিশাল অংশ প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় হাতিয়ায় বনের হরিণ পর্যন্ত লোকালয়ে চলে এসেছে, যা এখন ভাইরাল দৃশ্য!
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চলমান রয়েছে। মৎস্যজীবীদের সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নৌপথে দুর্যোগ:
নদী উত্তাল থাকায় দেশের সব অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মেঘনায় উত্তাল ঢেউয়ের মুখে ফেরিগুলো ফিরে আসতে বাধ্য হয়, একটি ফেরিতে ছিল চারটি লাশবাহী গাড়িও!
সুন্দরবনে বিপর্যয়:
বাগেরহাটের করমজল, দুবলার চরসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীতে ভেসে যাওয়া এক হরিণ শাবককে উদ্ধার করে বনরক্ষীরা আবার বনে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
হাতিয়ায় প্রকৃতির করুণ চিত্র:
নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় বনের হরিণ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছে।
অবস্থার আরও অবনতি:
বরগুনার বিষখালী নদীর বাঁধ ভেঙে বহু এলাকা প্লাবিত, ঝালকাঠিতে নদীর পানি ৩-৪ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলা শহরে জলাবদ্ধতা প্রকট, বাঁধ ভেঙে যাওয়া ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয়রা।
কক্সবাজারে পর্যটক সতর্ক:
উত্তাল সাগরে লাল পতাকা টাঙিয়ে পর্যটকদের সাবধান করা হচ্ছে, সাগরে নামা নিষিদ্ধ। সৈকতের কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
🌊 এমন জলীয় তাণ্ডবের মধ্যেই, মৌসুমি বায়ুর আগমন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা আপাতত নেই। তবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী দুদিন সারা দেশে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।