বাংলাদেশে ছোট জমি হলেও কৃষি থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি ও আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে অনেক কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েন। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও ইনোভেটিভ চাষাবাদ আজ কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এক বিঘা জমিতেও লাখ টাকার বেশি আয় করা যায়, যদি সঠিক পথ অনুসরণ করা হয়।
- ড্রিপ ইরিগেশন প্রযুক্তির গুরুত্ব:
জলসংরক্ষণ ও সঠিক পরিমাণ পানি সরবরাহের জন্য ড্রিপ ইরিগেশন আজ আধুনিক কৃষির অন্যতম সফল পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে পানির অপচয় কমে যায় এবং গাছের বৃদ্ধি অনেক দ্রুত হয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য এটি খুব কার্যকর। -
হাইব্রিড ও জেনেটিকালি উন্নত বীজ ব্যবহার:
উন্নত জাতের বীজ যেমন উচ্চ ফলনশীল, রোগপ্রতিরোধী ও কম পানি খরচ করে এমন জাত বীজ বাছাই করাই আধুনিক কৃষির মূল চাবিকাঠি। হাইব্রিড বীজ ব্যবহার করে এক বছরের মধ্যে তিন-চারগুণ বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। -
অর্গানিক সার ও বায়োফার্টিলাইজারের ব্যবহার:
কেমিক্যাল সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে অর্গানিক সার ও বায়োফার্টিলাইজার ব্যবহার করলে মাটির উর্বরতা বজায় থাকে এবং ফসল স্বাস্থ্যকর হয়। বাজারে বর্তমানে ভালো মানের অর্গানিক সার সহজলভ্য। -
কৃষকের সফল কাহিনী:
যেমন রাজশাহীর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যিনি আধুনিক প্রযুক্তি অনুসরণ করে মাত্র এক বিঘা জমি থেকে ১,২০,০০০ টাকা আয় করেছেন টমেটো ও মরিচের চাষ থেকে। তার সফলতার গল্প ও ব্যবহৃত পদ্ধতির বিশ্লেষণ। -
সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা:
কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সুলভ ঋণ, ও সরকারি প্রকল্পের সাহায্যে এখন যেকোনো কৃষক আধুনিক পদ্ধতি আয়ত্ত করতে পারেন।
যারা আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতি গ্রহণ করছেন, তারাই আগামী দিনে সফল কৃষক হবেন। আমাদের দেশের কৃষিকে শুধু পরিমাণ নয়, গুণগতভাবে উন্নত করতে এই পন্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।