এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে আগামী এপ্রিল মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি। সরকারের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো শিশুদের মধ্যে পুষ্টিহীনতা কমিয়ে আনা, শ্রেণিকক্ষে তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি করা এবং স্কুলে উপস্থিতির হার বাড়ানো।
কী থাকবে এই কর্মসূচিতে? এই কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হবে। এতে থাকবে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ খাবার, যা শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক হবে। বিশেষ করে, গ্রামের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশুরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য কী সুবিধা হবে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হবে এবং তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ আরও বাড়বে। স্কুলে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে এবং ক্লাসের ফলাফলেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কাদের জন্য প্রযোজ্য? প্রাথমিকভাবে এই কর্মসূচি দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর হবে। ভবিষ্যতে এর আওতা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সরকারের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি দেশের সামগ্রিক মানবসম্পদ উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।