পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে প্রথমবারের মতো জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করায় এবারের দিনটি ব্যতিক্রম বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকীতে বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পরেই তিন বাহিনী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ৫৭ জন অফিসার শাহাদাতবরণ করেছেন, সব মিলিয়ে ৭৪ জন শাহাদাতবরণ করেছেন। তাঁদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য এসেছি, এটা প্রতিবছরই আসা হয়। কিন্তু এবার একটু ডিফারেন্স হইলো। এবার থেকে এটা শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ডিক্লেয়ার করা হইছে।’
১৬ বছর আগে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে তখন পিলখানায় নিহত হন ৭৪ জন। সেদিন পিলখানায় থাকা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও নৃশংসতার শিকার হন।