North News.live

উত্তরবঙ্গের কণ্ঠস্বর

কলকাতায় আবাসিক হোটেলে ভয়াবহ আগুন: শিশু-সহ প্রাণ গেল ১৪ জনের

মঙ্গলবার(২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মধ্য কলকাতার মেছুয়ার ফলপট্টির একটি বাণিজ্যিক হোটেলে ঘটে গেল মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড। ধোঁয়ায় ভরে ওঠা ওই হোটেল কার্যত রূপ নেয় একটি ‘গ্যাসচেম্বার’-এ, যার ফলে প্রাণ হারান দুই শিশু-সহ অন্তত ১৪ জন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে হোটেলের ৪২টি ঘরে থাকা ৮৮ জনের মধ্যে অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে জানলার কার্নিশে উঠে যান। দমকল কর্মীরা মই দিয়ে তাঁদের নামিয়ে আনেন। একজন, আনন্দ পাসোয়ান, আতঙ্কে ঝাঁপ দিয়ে মারা যান।

দোতলায় লাগা আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে হোটেলের অন্যান্য তলায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আশপাশের দোকান-বাড়ির জন্য বিপদের আশঙ্কা ছিল, যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। বুধবার ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। দেখা হবে কোনও গাফিলতি ছিল কি না এবং কেন এতজন আবাসিককে সময়মতো সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঘটনাস্থলে রাতভর উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, নগরপাল মনোজ বর্মা ও রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ১৪ জনের মধ্যে ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।

এই হোটেলে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অন্য রাজ্যের বহু ব্যবসায়ী ও শ্রমিক, যাঁরা কাজের সূত্রে সেখানে থাকতেন। এটি শুধু কলকাতার নয়, সারা দেশের শহুরে অগ্নিসুরক্ষা ব্যবস্থার উপর বড় প্রশ্ন তুলে দিল।

Scroll to Top