
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। কোরবানি যেমন একটি ধর্মীয় ইবাদত, তেমনি কোরবানির পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা প্রতিটি মুসলমানের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব। ইসলাম পরিচ্ছন্নতাকে “অর্ধ-ঈমান” বলে ঘোষণা করেছে। তাই কোরবানির সময় ও পরবর্তী সময়ে সঠিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
✅ কোরবানির স্থান নির্ধারণ ও প্রস্তুতি:
-
এমন জায়গা বেছে নিতে হবে যেখান থেকে রক্ত ও বর্জ্য সহজে সরানো যায়।
-
আগে থেকেই গর্ত খুঁড়ে রাখা বা নির্ধারিত ড্রেনিং ব্যবস্থা থাকলে ভালো।
-
পানি ও ব্লিচ মিশ্রণ প্রস্তুত রাখলে জায়গাটি দ্রুত পরিষ্কার করা সম্ভব হয়।
✅ রক্ত ও বর্জ্য দ্রুত অপসারণ:
-
কোরবানি শেষ হতেই রক্ত, চামড়া, হাড় ও অন্যান্য বর্জ্য জমিয়ে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে ফেলতে হবে।
-
রাস্তার ওপর বা খোলা জায়গায় রক্ত ছড়ানো অনুচিত। গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেওয়া উত্তম।
✅ জীবাণুনাশক ব্যবহার:
-
কোরবানির স্থান ধুয়ে ব্লিচ, ডেটল বা সাভলনের মতো জীবাণুনাশক ব্যবহার করা উচিত।
-
এতে দুর্গন্ধ কমে, মাছি-পোকামাকড় আসা বন্ধ হয় এবং রোগজীবাণু ছড়ায় না।
✅ চামড়া ও বর্জ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ:
-
চামড়া দ্রুত সংরক্ষণ করে নির্ধারিত সংস্থা বা মাদ্রাসায় হস্তান্তর করা দরকার।
-
নিজে না পারলে স্থানীয় পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের সহায়তা নেওয়া উচিত।
✅ প্রতিবেশী ও এলাকার প্রতি দায়িত্ব:
-
রাস্তায় বা অন্যের জায়গায় বর্জ্য ফেলে প্রতিবেশীদের কষ্ট দেওয়া ইসলামি আদবের পরিপন্থি।
-
ড্রেন, রাস্তা বা আশপাশের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন রাখা গুনাহের কাজ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
📌 উপসংহার:
কোরবানি শুধু পশু জবাইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তা ত্যাগ, পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের শিক্ষা দেয়। সবাই মিলে পরিবেশবান্ধব ও ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী কোরবানি পালন করলে সমাজে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অসন্তোষের সুযোগ থাকবে না।