আমাদের পরিচিত দেশি খাবারেই লুকিয়ে আছে এমন সব উপাদান, যা ক্যানসারের মতো কঠিন রোগ প্রতিরোধে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু দেশজ সবজি, মসলা ও ফলমূল এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যালে ভরপুর, যা শরীরের কোষগুলোকে ক্যানসারসৃষ্টিকারী পরিবর্তন থেকে রক্ষা করে।
প্রথমেই আসে লাল শাকের কথা। এতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক এক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে ফ্রি-র্যাডিকেলের প্রভাব কমায়। লাল শাক শুধু রঙে নয়, শক্তিতেও দারুণ। আরেকটি কার্যকর দেশি উপাদান হলো তেজপাতা। লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং লিভার ক্যানসার প্রতিরোধে এটি অদ্বিতীয়। প্রতিদিনের রান্নায় এক টুকরো তেজপাতাই এনে দিতে পারে এই সুরক্ষা।
আমলকি হল এমন একটি ফল, যা বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল কোষে কোষে রোগ প্রতিরোধের প্রাচীর তৈরি করে। আর কালো জিরা—যাকে কেউ কেউ ‘হোমিওপ্যাথির অলৌকিক দানা’ বলে অভিহিত করেন—তার মধ্যে রয়েছে থাইমোকুইনন নামের এক উপাদান, যা ক্যানসার কোষের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে।
সবশেষে বলা যায় রসুনের কথা। অ্যালিসিন নামক এক জৈব উপাদান রসুনে পাওয়া যায়, যা শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং ক্ষতিকর কোষ ধ্বংসে ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের খাবারে অন্তত একটি এমন ‘সুপারফুড’ যুক্ত থাকলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বহুগুণে বাড়ে এবং ক্যানসারের মতো রোগের সম্ভাবনা কমে যায়।