ছবি: সংগৃহিত
নর্থ নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক। গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনে যখন প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি, তখন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—এটা শুধু যুদ্ধ নয়, এটা এক গভীর পরিকল্পিত ‘জনসংখ্যাগত যুদ্ধ’!
বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাসবিদ জোসেফ মাশাদ তার সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দাবি করেছেন—ইসরায়েলের এই হামলার মূল লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ধ্বংস করে দিয়ে, নিজেদের ‘ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ নিশ্চিত করা।
📌 ইতিহাস বলছে—
-
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের আগেও ফিলিস্তিনে ইহুদি জনগণ ছিল সংখ্যালঘু—মাত্র ৩০%।
-
সেই বছরই ৭৬০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়। হত্যা করা হয় প্রায় ১৩,০০০ জনকে।
-
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর, গাজা ও অন্যান্য অঞ্চল দখল করে, তখন থেকেই তাদের মাথাব্যথা বাড়ে—ফিলিস্তিনি জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
-
১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইহুদি অভিবাসন এনে কিছুদিনের জন্য ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থাকলেও, ২০০০ সালের পর থেকে সংখ্যার ভারসাম্য দ্রুত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে চলে যায়।
📉 সংখ্যার ভয়:
-
২০১০ সালের পর থেকে ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলগুলোর জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি ছিল আরব ফিলিস্তিনি।
-
যা ইসরায়েলের জন্য ‘জনসংখ্যাগত বিপদ’ বা Demographic Threat হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সেই আশঙ্কা থেকেই ২০১৮ সালে ইসরায়েল পাস করে বিতর্কিত “ইহুদি জাতির রাষ্ট্র” আইন, যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়—এই ভূমি কেবলমাত্র ইহুদিদের, ফিলিস্তিনিদের কোনো স্বত্ব নেই।
🔍 বর্তমান প্রেক্ষাপট:
বিশ্লেষকদের মতে, আজ গাজায় যা ঘটছে, তা আসলে ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠ চিরতরে রোধ করার ও তাদের অস্তিত্বকে ধ্বংস করে দেওয়ার নীলনকশা। বোমা, ক্ষুধা, অবরোধ—সব কিছুই সেই একই লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার।
বিশ্ব যখন মানবিক বিপর্যয়ের ছবি দেখে শোক জানাচ্ছে, ইসরায়েল তখন গোপনে হিসাব কষছে—”আর কত ফিলিস্তিনি কমলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে আসবে?”