গবাদি পশুর খাদ্য সংকট বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য বড় সমস্যা। বিশেষ করে খড় ও সবুজ ঘাসের অভাবে গরু, মহিষ ও ছাগলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এই সংকট সমাধানে বিকল্প খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করা জরুরি।
ন্যাপকিয়ার ঘাস ও আজোলা চাষ: ন্যাপকিয়ার ঘাস উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিকর, যা কম সময়ে প্রচুর উৎপাদন হয়। এটি চাষ করে সহজেই গবাদি পশুর খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়া, আজোলা একটি জলজ উদ্ভিদ যা প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পশুর জন্য উপকারী খাদ্য। এটি চাষ করে গরু ও ছাগলের দুধ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
সাইলেজ প্রযুক্তি: শুকনো মৌসুমে খাবারের অভাব পূরণে সাইলেজ প্রযুক্তি কার্যকর। সাইলেজ পদ্ধতিতে কাটা ঘাস সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন ভালো রাখা যায়। এতে খাদ্য সহজলভ্য হয় এবং পশুর উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
গবাদি পশুর খাদ্য সংকট মোকাবেলায় উন্নত প্রযুক্তি ও পরিকল্পিত খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকার ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।