
রক্তে ভিজে থাকা একটি স্কুলব্যাগ। পাশে পড়ে আছে আধা খাওয়া বিস্কুট। পেছনে ধ্বংসস্তূপের মাঝে তাকিয়ে আছে এক শিশুর শূন্য দৃষ্টি—এই দৃশ্যটি এখন প্রতিদিনের মতো সাধারণ হয়ে উঠেছে গাজায়। কিন্তু এই ‘সাধারণ’ যেন আমাদের মানবতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে একটু একটু করে।
একসময় যেসব শিশু রঙিন বই নিয়ে স্কুলে যেত, তারা এখন হাসপাতালে ভর্তির অপেক্ষায়, কেউ বা আর কখনোই স্কুলে ফিরবে না। শুধু যুদ্ধের পরিসংখ্যানে তারা পরিণত হচ্ছে—“আজ ২০ শিশু নিহত”, “গতরাতে আরও ৩৫ জন আহত”—এইসব শিরোনাম এখন কেবল সংবাদ নয়, একটি সভ্যতার ব্যর্থতার দলিল।
যখন বিশ্বের পরাশক্তিরা টেবিলের চারপাশে বসে যুদ্ধ থামানোর শর্ত নিয়ে আলোচনা করে, তখন গাজার শিশুরা হয়তো ধ্বংস হওয়া বাড়ির নিচে থেকে সাহায্যের আর্তনাদ করছে। এক শিশুর প্রশ্ন—”আমি কি ভুল জন্মেছি?”—এই প্রশ্ন যেন এখন গোটা বিশ্বের সামনে ছুঁড়ে দেয় একটি আয়না। আমরা কি সত্যিই সভ্যতা বলে কিছু গড়েছি?
এই সংকট শুধু রাজনৈতিক নয়, এটা একটি মানবিক বিপর্যয়। শিশুর কান্নার ভাষা কোনো ধর্ম, কোনো ভৌগোলিক সীমান্তে আটকে রাখা যায় না। আজ যে শিশুদের বাঁচাতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি, আগামীকাল তাদের নীরবতা আমাদের বিচার করবে।