
বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে শিক্ষায় ডিজিটাল বিপ্লব ঘটলেও, গ্রামের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো কালো বোর্ড আর চকই শিক্ষার একমাত্র হাতিয়ার। অথচ আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় মেধার একটি বড় অংশ বাস করে এই গ্রামীণ এলাকাতেই।
প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে পিছিয়ে থাকলে পিছিয়ে পড়বে পুরো জাতি। গ্রামের স্কুলগুলোতে যদি ইন্টারনেট, প্রজেক্টর, অনলাইন কোর্সের সুযোগ, মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এবং কম্পিউটার ল্যাব নিশ্চিত করা যায়—তবে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
সরকারের পাশাপাশি এনজিও ও বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। একজন শিক্ষকের হাতে যদি থাকে একটি ট্যাব, আর ছাত্রের হাতে যদি থাকে শেখার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, তাহলে গ্রামের সন্তানও হয়ে উঠতে পারে গুগল, নাসা কিংবা ইউনেস্কো-স্বীকৃত গবেষক।
সমান সুযোগই গড়বে সমান ভবিষ্যৎ। গ্রাম আর শহরের ব্যবধান ঘোচাতে হলে, শিক্ষায় প্রযুক্তি হতে হবে সবচেয়ে বড় সেতু।