আজকের যুগে গভীর ঘুম যেন এক দূরের স্বপ্ন। কর্মচাপ, প্রযুক্তি নির্ভরতা আর চিন্তাজর্জরিত জীবনধারা লাখো মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অথচ চিকিৎসক ও গবেষকেরা বারবার বলছেন—ঘুম না হলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, হার্টের সমস্যা দেখা দেয়, এমনকি ওজনও বাড়ে দ্রুত।
সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা গভীর ঘুম দরকার শরীর ও মনের পুনর্গঠনের জন্য। আর এই ঘুম নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কিছু বিশেষ অভ্যাস। যেমন, রাত দশটার পর থেকে মোবাইল, টিভি বা ল্যাপটপ বন্ধ রাখা উচিত। স্ক্রিনের নীল আলো আমাদের মেলাটোনিন হরমোনের স্বাভাবিক নিঃসরণে বিঘ্ন ঘটায়, যার ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়।
ঘুমের আগে গরম দুধ পান করলে শরীর ও মন শিথিল হয়। এছাড়া হালকা হাঁটা, প্রার্থনা, ধ্যান বা শান্ত সঙ্গীত শোনা মনকে স্থির করে তোলে। শোবার ঘর ঠান্ডা, অন্ধকার এবং নিরব রাখাও ঘুমের পরিবেশ গঠনে সহায়ক। একটানা ঘুম নিশ্চিত করতে রাত্রিকালীন ক্যাফেইন, চিনি ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
যাঁরা নিয়ম করে ঘুমের রুটিন মেনে চলেন, তাঁরা শুধু সুস্থই থাকেন না, বরং মানসিকভাবে আরও চনমনে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, “ভাল ঘুম মানেই ভাল জীবন”। এই কথাটাই আজকের দিনে নতুন করে সত্য হয়ে উঠছে।