ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। ছেলের জীবন বাঁচাতে শেষ সম্বল জমিটুকুও বিক্রি করতে হয়েছিল এক অসহায় মাকে। চিকিৎসার আশায় তিনি এসেছিলেন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। খবরটি পৌঁছে যায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কানে। দেরি না করে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি।
তারেক রহমান ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন। এরপর বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পৌঁছান বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এবং আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধিরা কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলার প্যারালাইজড তরুণ আরিফুল ইসলামের চিকিৎসায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আরিফুলের চলাচলের জন্য ‘হিপ-নি-অ্যাংকেল ফুট অর্থোসিস’ নামক একটি বিশেষ যন্ত্র সরবরাহ করা হয়। এই সহায়তার মাধ্যমে শুধু যন্ত্রই নয়, একজন অসহায় মায়ের বুকভরা কান্না সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে।
তারেক রহমানের এই সহানুভূতির বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয় মা ও সন্তানের কাছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন: আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, ফরহাদ আলী সজীব।
সাথে ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাবের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ডা. আ.ন.ম মনোয়ারুল কাদির বিটু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি, ছাত্রদলের সাবেক সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এম আর হাসানসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, আরিফুল ইসলাম ২০২৩ সালে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন এবং তারপর থেকে প্যারালাইসিসে ভুগছেন।