দিনাজপুর জেলায় শনিবার একদিনে ৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব ঘটনা ঘটেছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। এর মধ্যে আত্মহত্যা, খুন, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু এবং অজ্ঞাত মরদেহ রয়েছে।
বীরগঞ্জ উপজেলার চাউলিয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে জামাই সামিয়েল মার্ডির (৩৮) ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি বাহা বেসরা (৫৫) নিহত হন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
একই উপজেলার নাগরগঞ্জ কলোনিপাড়ার লিচু বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান শ্রমিক নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ (২২)।
নবাবগঞ্জ উপজেলার খয়ের গুনি গ্রামে করতোয়া নদী থেকে উদ্ধার করা হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ। একই উপজেলার মালভবানীপুর গ্রামের সাথী আকতার (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
হাকিমপুর উপজেলার বাওনা আলিহাট গ্রামে মনিরুল ইসলামের স্ত্রী বৃষ্টি (১৯) এবং ঈশ্বরপুর গ্রামের মুনসুর আলী খোকা (৫০) একইভাবে আত্মহত্যা করেন।
বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ মল্লাপাড়ার তৌফিকুজ্জামান (৪৭) আত্মহত্যা করেন নিজ ঘরে।
বোচাগঞ্জ উপজেলার ধনীপাড়ায় লিচুর বিচি গলায় আটকে ছয় মাস বয়সী শিশু আরফানের মৃত্যু হয়।
ফুলবাড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান আঁখি মনি (২৭) নামের এক গৃহবধূ। বাড়িতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, সবগুলো মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি ঘটনায় তদন্ত চলছে।