
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথম ভাগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করার পর বিএনপি তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বললেও প্রধান উপদেষ্টার কথাবার্তা ও আচরণ প্রমাণ করে, তিনি একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাবেই চলছেন। এতে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মত উপেক্ষিত হচ্ছে, যা স্বাভাবিকভাবেই জনগণের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে আশঙ্কা তৈরি করছে।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে ড. ইউনূসের দেওয়া ভাষণ নিয়ে গভীর আলোচনার পর দলটি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণটি শুধুই ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা নয়, বরং সেটি অনেকটা রাজনৈতিক বক্তব্যে পরিণত হয়েছে। ভাষণে তিনি করিডোর, বন্দরসহ এমন কিছু ইস্যুতে মন্তব্য করেছেন, যেগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেটের মধ্যে পড়ে না। এছাড়া তার শব্দচয়ন রাজনৈতিক শালীনতার সীমা অতিক্রম করেছে বলেও মন্তব্য করেছে বিএনপি।
বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা রমজান ও গ্রীষ্মের বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়, সেই বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলেননি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনগণ বহু বছর ধরে ভোটাধিকার ফিরে পেতে রক্ত ও ঘাম দিয়ে লড়াই করেছে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এই লড়াইকে আরও দৃঢ় করে তোলে। তাই রমজান, পাবলিক পরীক্ষা ও আবহাওয়া বিবেচনায় আগামী নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করার দাবি আবারও জানিয়েছে বিএনপি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে যে কোনো দিন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।