দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ—জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় রওনা দেন। পথজুড়ে তাকে স্বাগত জানাতে ছুটে আসেন বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতা-কর্মী। জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ব্যানার-ফেস্টুন হাতে তারা স্লোগানে মুখর করে তোলেন গুলশানের পথঘাট। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়া ফিরোজায় পৌঁছান।
খালেদা জিয়ার আগমনের খবর জানাজানি হতেই সকাল থেকেই ফিরোজার চারপাশে জমে ওঠে উৎসবের আবহ। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা—বাহিরে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সদস্য। নিরাপত্তায় ছিল ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)’–এর সদস্যরাও।
উল্লেখ্য, উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দ্য লন্ডন ক্লিনিকে, যেখানে তিনি ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যান। অবশেষে সোমবার রাতে কাতারের দোহা হয়ে তিনি ঢাকায় রওনা দেন এবং আজ সকালে দেশে ফেরেন।
ফিরোজায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই নেতাকর্মীদের হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ে এক নতুন আশার আলো—নেত্রী ফিরেছেন, আরেকবার রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য তৈরি হতে যাচ্ছে, এমনটাই বলছেন তাঁরা।