রাজশাহীর বাগমারায় এক কিশোর কৌতূহলের কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভাগনদী গ্রামে। নিহত আসলাম ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং ভাগনদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা আকবর হোসেন।
পরিবারের সদস্যদের কাছে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রেখে আসলাম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সে চিৎকার করছিলো, কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় আশপাশের লোকজন এসে দেরিতে দেখতে পায়। দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে তাঁরা মৃত অবস্থায় তাকে পান।
আসলামের মামা শামসুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি পাশের গ্রামের এক মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। সেই ঘটনার পর থেকে আসলাম ফাঁস নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করত এবং বিভিন্ন সময় পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রশ্ন করত, গলায় ফাঁস দিলে আসলেই মানুষ মারা যায় কিনা এবং এর ব্যথা কতটুকু। শেষ পর্যন্ত নিজেই কৌতূহলের বশে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সকালেই আসলাম মামার সঙ্গে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিলো। এক ঘণ্টার মধ্যে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
যোগীপাড়া থানার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল করিম জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, আসলাম কৌতূহলের কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না আসায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হবে।