ছবি: সংগৃহিত
প্রথমে ব্যাট করে বিশাল রান তুলেছিল বাংলাদেশ, ভাবা গিয়েছিল সহজ জয়ের পথেই রয়েছে সফরকারীরা। কিন্তু চমকে দিয়ে শেষ বলের আগেই জয় ছিনিয়ে নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ঐতিহাসিক জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ জোহাইবের ১০ ওভারে গড়া ১০৭ রানের বিধ্বংসী জুটির।
৪২ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে চালকের আসনে বসান ওয়াসিম। যদিও তার আউট হওয়ার সময় জয়ের জন্য আরও ৫৮ রান দরকার ছিল মাত্র ৩১ বলে, তবে নিচের সারির ব্যাটাররাও দায়িত্ব নিয়ে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন।
এই জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় আমিরাত, যা নিঃসন্দেহে তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের এক বড় মুহূর্ত।
সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। শুরুর পরিকল্পনায় দুটি ম্যাচ থাকলেও প্রথম ম্যাচের পর বিসিবির প্রস্তাবে একটি অতিরিক্ত ম্যাচে রাজি হয় এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড। সেই তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হবে ২১ মে, একই ভেন্যুতে।
এই ম্যাচ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ওয়াসিম বলেন,
“বাংলাদেশকে হারিয়ে আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা জানতাম এই রান তাড়া করা সম্ভব, কারণ এই কন্ডিশন আমাদের চেনা। শেষ ম্যাচে পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামব, সিরিজ আমাদের করেই ছাড়ব।”
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রান করার কৃতিত্ব এখন ওয়াসিমের দখলে। তার সাম্প্রতিক ফর্মে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ঝলক পেয়েছে।
আরেক আমিরাত ক্রিকেটার আসিফ খান মনে করেন, এই জয় একদমই ফ্লুক নয়:
“আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা আগেও আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলকে হারিয়েছি। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। আমাদের লক্ষ্য ছিল পাওয়ার প্লে-তে ৬ ওভারে ৬০ রান তোলা, যা ওয়াসিম ভাই দারুণভাবে বাস্তবায়ন করেছেন।”
পরিকল্পনা মতো খেলতে পারাই এই জয়ের মূল কারণ বলে মনে করেন তিনি।
“আমরা জানতাম ২১০-২১৫ রান তাড়া করতে হলে কী করতে হবে। নিচের ব্যাটাররাও সেটি ঠিকঠাক করেছে।”