ছবি: সংগৃহিত
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য ২০৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। অথচ ইসির দাবি ছিল প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা।
নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে ১৩তম জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ৫৯২১ কোটি টাকা চেয়েছিল। যদিও দুটি দফায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর অর্থ মন্ত্রণালয় শেষ পর্যন্ত কমিয়ে ২০৮০ কোটি টাকায় থামে। তবে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়তে পারে।
কেন এত কাটছাঁট?
সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এবারের বাজেটে প্রায় সব খাতে ব্যয় কমানো হচ্ছে। তবে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রয়োজনে অন্য খাত থেকেও অর্থ আনা যাবে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের মোট বাজেট দাঁড়াচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে বেশি।
নির্বাচনী কেনাকাটায় কী কী লাগবে?
স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ঢাকনা, ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি, স্ট্যাম্প, ১৭ ধরনের খাম, ছুরি, মোমবাতি, দেশলাই—সবকিছুর জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে হয়।
ইসির ভাষ্য, জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ হবে। নির্বাচন হবে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে।
আগামী অর্থবছরে জাতীয় সংসদের পাশাপাশি প্রায় আড়াই হাজার স্থানীয় নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।