ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসি বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার আরও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ২৯ মে ডেথ রেফারেন্স এবং দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিলের শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। শুনানি শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের ২৩ জুন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ মামলাটিকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন এবং মামলার যাবতীয় নথি এই হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।
ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে, কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে। পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট, সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে র্যাব তদন্ত করে ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড এবং টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, ও স্থানীয় তিন বাসিন্দা—নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছিল।
রায় ঘোষণার পর থেকেই এ মামলার রায়ের দিকেই ছিল দেশবাসীর নজর। অবশেষে উচ্চ আদালতের রায়ে বহাল থাকল সেই দণ্ড।
