
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই তুরস্কের ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয়বারের মতো সরাসরি মুখোমুখি হলো ইউক্রেন ও রাশিয়া। তবে আলোচনার ফলাফল খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়—যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই মাত্র এক ঘণ্টায় শেষ হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
তবে আলোচনায় কিছুটা ইতিবাচক অগ্রগতি এসেছে যুদ্ধবন্দি বিনিময় নিয়ে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বন্দি বিনিময়ের প্রস্তুতি দ্রুত শুরু হবে এবং এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে তুরস্ক। জেলেনস্কি এই কথা বলেন সোমবার অনুষ্ঠিত ‘বুখারেস্ট নাইন (বি-নাইন)’ সম্মেলনে।
এর আগে গত মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে এক হাজার করে যুদ্ধবন্দি মুক্তির চুক্তি সম্পন্ন হয়, যা সাময়িকভাবে হলেও শান্তি প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। সেই সূত্র ধরেই এবার আরও বড় পরিসরে বন্দি বিনিময়ের কথা উঠেছে।
আন্তর্জাতিক মহল—বিশেষত জি-৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন—ইস্তাম্বুলের আলোচনার দিকে কড়া নজর রেখেছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাশিয়া যদি আলোচনাকে সময় নষ্টের কৌশলে পরিণত করে, তবে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইউক্রেন তাদের আলোচনায় একটি বিস্তারিত শান্তি প্রস্তাব তুলে ধরেছে, যাতে রয়েছে পর্যবেক্ষণব্যবস্থাসহ ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরিকল্পনা—যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি পালিত হলে তবেই তা বাস্তবায়ন হবে।
এছাড়া আলোচনায় ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল—
🔹 রাশিয়ার কাছে আটক থাকা ইউক্রেনীয় সব বন্দির মুক্তি
🔹 রাশিয়ায় থাকা ইউক্রেনীয় অপহৃত শিশুদের ফেরত পাঠানো
🔹 বেসামরিক ইউক্রেনীয় বন্দিদের দ্রুত মুক্তি
এই প্রস্তাবগুলোই এখন শান্তির আলোচনায় কেন্দ্রে। যদিও যুদ্ধ থামার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি, বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে সমঝোতা নিঃসন্দেহে একটা মানবিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্দি বিনিময়ের সফল বাস্তবায়ন ভবিষ্যতের বৃহত্তর শান্তি আলোচনার পথ তৈরি করতে পারে।