
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। কোরবানি ইসলামের এক মহিমান্বিত ইবাদত। অথচ দুঃখজনকভাবে, এই ইবাদতের ভেতরে আজ নানা ভেজাল প্রবেশ করেছে। এমনকি হাজার জনের মধ্যে মাত্র কয়েকজনের কোরবানি হয়তো আল্লাহর দরবারে কবুল হয়—এটা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।
আসলে কোরবানি শুধু অর্থ ব্যয়ের নাম নয়। বরং এটি এমন এক ইবাদত, যেখানে ইখলাস বা আন্তরিকতা ছাড়া কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, “তোমার ইবাদত শুধুই আল্লাহর জন্য খাঁটি হওয়া চাই।” (সূরা যুমার ৩)
💸 কেন আর্থিক ইবাদতে ভেজাল বেশি?
নামাজ-রোজার মতো শারীরিক ইবাদতে মানুষ সাধারণত আন্তরিক থাকে। কিন্তু টাকা খরচ করতে গিয়ে অনেক সময়ই ইখলাসে ফাটল ধরে। কোরবানির সময়ও তাই ঘটে। কারণ আমরা পশু কোরবানি করি, আবার সেই গোশত নিজেরাই খাই। এতে করে ইবাদতের উদ্দেশ্য অনেক সময় ঢাকা পড়ে যায়—লোক দেখানো, সামাজিক চাপ কিংবা পারিবারিক রেওয়াজে।
🕋 কোরবানির প্রকৃত মর্ম—ত্যাগ
ইবরাহিম (আ.)–এর কোরবানির ঘটনা আমাদের শেখায়, আল্লাহর নির্দেশ মানতে হলে নিজের সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হয়—even নিজের সন্তানকেও! সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন বলেই আল্লাহ দুম্বা পাঠিয়ে সেই কোরবানি কবুল করে নিয়েছিলেন।
❗ প্রশ্ন করুন নিজেকে
আপনার কোরবানির উদ্দেশ্য কী?
▪️ সত্যিই আল্লাহর সন্তুষ্টি?
▪️ নাকি মানুষের দেখানোর জন্য?
▪️ নাকি মাংস খাওয়ার উদ্দেশ্যেই করা হয়?
আপনি যদি সন্তুষ্টিজনক উত্তর না পান, তাহলে একটু থামুন। আত্মসমালোচনা করুন। কারণ কোরবানি হলো এমন এক আত্মসংগ্রাম, যা জাহান্নামের পথে না গিয়ে জান্নাতের দিকে ফেরার সুযোগ এনে দেয়।
📌 কোরবানির আগে জেনে নিন—
✅ আপনার নিয়ত ঠিক আছে কি না
✅ আপনি লোক দেখানোর জন্য করছেন কি না
✅ আপনি সত্যিই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রস্তুত কি না
কবি নজরুল বলেছিলেন,
“বনের পশু কোরবানি করার আগে মনের পশুটাকে কোরবানি করো।”
এই কথার ভেতরেই লুকিয়ে আছে কোরবানির চূড়ান্ত শিক্ষা।