রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। রোববার (৪ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, রেজিস্ট্রার বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণ, কয়েকটি আবাসিক হলে পবিত্র আল-কোরআন পোড়ানো এবং একাডেমিক ভবনে পূজার ব্যানার ছেঁড়ার মতো ঘটনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবি জানান তারা।
রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, “ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ৯ ও ১১ জানুয়ারি সুপরিকল্পিতভাবে সাতটি হলে এবং কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন শরীফ পোড়ানো হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। কোরআন পোড়ানো এবং রেজিস্ট্রার বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণ—এই দুই ঘটনা একটি ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে আমরা মনে করি।”
তিনি বলেন, “প্রশাসন যদি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না হয়, তাহলে সত্য উদ্ঘাটনে দায়ীদের নাম প্রকাশ করা উচিত। আজ না হোক কাল, সত্য প্রকাশ হবেই।”
ছাত্রদলের অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক সর্দার জহুরুল বলেন, “জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনের সময় কার কী ভূমিকা ছিল, তা ইতিহাস জানে। রাবি ছাত্রদল সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিল এবং থাকবে।”
আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহী বলেন, “ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ১৫ বছর ধরে নানা নির্যাতনের মুখেও সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। অথচ এখন প্রশাসন ও কিছু চিহ্নিত মহল বহিরাগতদের ব্যবহার করে ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করছে।”
অবস্থান কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জোহা চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন আবাসিক হল ও মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রদল কর্মী অংশ নেন।