
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রবিবার(১ জুন) ফোনে কথা বলেন। তারা আসন্ন মস্কো-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা ( তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হবে) ও সম্প্রতি রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় হামলা নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনার একদিন আগে, রাশিয়ার ব্রিয়ান্স্ক ও কুরস্ক সীমান্ত এলাকায় দুটি সেতু ধ্বংস হয়ে পড়ে। এতে অন্তত সাতজন নিহত এবং বহু লোক আহত হয়। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, এটি ছিল নাশকতার ফল।
সেদিন পরবর্তী সময়, ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার পাঁচটি অঞ্চলের সামরিক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। উত্তরের মুরমানস্ক, পশ্চিমের ইভানোভো ও রিয়াজান, সাইবেরিয়ার ইরকুতস্ক, এবং পূর্বের আমুর অঞ্চলে এই ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুবিও ব্রিয়ান্স্ক ও কুরস্ক অঞ্চলে রেলপথে বোমা হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
ল্যাভরভ জানান, এই হামলাগুলো বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হবে এবং অচিরেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, “দোষীদের শনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।”
দু’দেশের প্রতিনিধিরা ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও মতবিনিময় করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২ জুন ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের আলোচনার দিকেও তারা দৃষ্টি দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানান, রুবিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি আলোচনার আহ্বান পুনরায় তুলে ধরেছেন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি আলাপ চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, ইউক্রেনীয় হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া পাল্টা হামলা চালায়—যেখানে ইউক্রেনের সামরিক জায়গা, অস্ত্র কারখানা ও গুদাম লক্ষ্য করা হয়।
তবে বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করে মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনীয় গণমাধ্যম জানায়, এই হামলার নাম ছিল “স্পাইডারওয়েব (Spiderweb)”, যা এক বছর ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটির মূল লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার কৌশলগত বিমান বাহিনী।