মার্চে ইতিহাস গড়ে রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠানোর পর এপ্রিলেও প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে চমক দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২৭৫ কোটি বা ২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে দেশে এসেছিল ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স। সে তুলনায় এবার প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে বড় ধরনের গতি দেখা যাচ্ছে।
তবে মার্চের তুলনায় কিছুটা কম এসেছে এপ্রিলে। গত মার্চে দেশে এসেছিল ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ। রমজান ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ওই মাসে অনেক প্রবাসী বাড়তি টাকা পাঠিয়েছিলেন।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের মাসের পর সাধারণত রেমিট্যান্সে কিছুটা ভাটা পড়ে। কিন্তু এবারে সেই ধারা ভেঙেছে। এপ্রিলেও আশার চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি, ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেনের উৎসাহ এবং বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর সহজ প্রক্রিয়ার কারণে এই প্রবাহ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১৯ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৫ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার, যা প্রবৃদ্ধির হিসেবে প্রায় ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রেমিট্যান্স হবে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। হুন্ডি বন্ধে আরও কড়াকড়ি আর প্রবাসীদের প্রণোদনা বৃদ্ধি করা গেলে, প্রতি মাসেই বৈধ পথে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।