চীনের বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধে এক ধাক্কায় দাম বাড়বে মার্কিন বাজারে, কিন্তু তাতে ক্ষতির মুখ চীনেরই—এমনটাই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গত সপ্তাহে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “হয়তো শিশুরা এখন আর ৩০টি পুতুল পাবে না, পাবে মাত্র দুটি। কিন্তু বড় ক্ষতি হবে চীনেরই।” সূত্র: এপি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে, আর ক্রেতাদের পছন্দের জিনিসের সংখ্যাও কমে যেতে পারে। কিন্তু তার মতে, দীর্ঘমেয়াদে এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আরও বেশি স্বনির্ভর করে তুলবে।
ট্রাম্প দাবি করেন, তার শুল্কনীতির ফলে চীনের বহু কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক ব্যবসা লোকসানে পড়েছে। তিনি বলেন, “চীন ছাড়া আমাদের আমদানির খুব বেশি প্রয়োজন নেই। আমরা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করতে পারি।”
তবে মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশটির অর্থনীতি বার্ষিক ভিত্তিতে ০.৩ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ—শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে অতিরিক্ত পণ্য আমদানি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানির খরচ বাড়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই প্রচুর পণ্য কিনে রেখেছেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা। ফলে সাময়িকভাবে ভোক্তা ব্যয় বাড়লেও, অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে নেতিবাচকভাবে।
তবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “হয়তো দাম বাড়বে, হয়তো পুতুলের সংখ্যা কমবে, কিন্তু চীনকে ধাক্কা দিতে আমরা প্রস্তুত।”