সকালের প্রথম ৩০ মিনিটই ঠিক করে দেয় আপনার গোটা দিনের ভাগ্য!
ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে চোখ? নাকি বিছানায় শুয়ে আধঘণ্টা গড়াগড়ি? তবে সাবধান! মনোবিদরা বলছেন—সকালের প্রথম আধঘণ্টা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করেন, তাহলে সারা দিনটাই হয় “মুড অফ”!
বিশেষজ্ঞদের মতে, “মর্নিং মোমেন্টাম” বা সকালের গতি-ছন্দ ঠিক করে দেয় আপনার মস্তিষ্কের সক্রিয়তা, স্নায়ুর শক্তি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। আর এই প্রাথমিক মুহূর্তে আপনার মস্তিষ্ক একেবারে স্পঞ্জের মতো—যা দেবেন, তাই নেবে।
তাহলে কী করবেন আপনি ঘুম থেকে উঠে? ১. “ঘুম ভাঙার ৫ মিনিটের নীরবতা” চোখ খুলেই হুড়মুড়িয়ে মোবাইল নয়! বরং ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস অনুভব করুন। এতে মন শান্ত থাকে, কর্টিসল হরমোন কমে—যেটা স্ট্রেসের মূল কারণ।
২. এক গ্লাস উষ্ণ পানি—যেন শরীরের অভ্যন্তরীণ শুচি। শরীর থেকে রাত্রিকালীন টক্সিন বের করতে সকালে উষ্ণ পানি অমোঘ কাজ করে। চাইলে এক চামচ লেবু রস বা সামান্য মধু মেশাতে পারেন।
৩. মাটিতে পা রাখুন—প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ করুন ঘুম থেকে উঠে একবার খালি পায়ে বারান্দায় বা উঠোনে দাঁড়ান। “গ্রাউন্ডিং” নামে এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ভারসাম্য তৈরি হয়, যা স্নায়ুকে শান্ত রাখে।
৪. ৫ মিনিট স্ট্রেচিং বা হাঁটা “আমি সময় পাই না”—এই অজুহাত যেন সকালে না আসে! বিছানার পাশেই কয়েকটি হালকা স্ট্রেচিং বা ছাদে ৫ মিনিট হাঁটা আপনার শরীরকে ঘুমের ঘোর কাটাতে দারুণ সাহায্য করবে।৫. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন—”আজ আমার দিন!” মজা মনে হলেও মনোবিদরা বলছেন, নিজেকে উৎসাহ দেওয়া সকালের রুটিনে থাকলে, আত্মবিশ্বাসের হারে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়। একজন মনোচিকিৎসক বললেন—
“যারা সকালে আয়নায় নিজেকে দেখে হাসে, তারা সারা দিন কম রাগ করে।”
বিপরীত দিকে—দিনের শুরুতেই যদি স্ট্রেস, মোবাইল স্ক্রল আর চিন্তা নিয়ে শুরু করেন, তাহলে দিনটা গোড়াতেই হার মানে।
তাই প্রশ্ন করুন নিজেকে—আপনি কীভাবে শুরু করছেন আপনার সকাল? জীবনের মতোই, শুরুটাই আসল!