
সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পুনর্গঠন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে বিষয়গুলো প্রয়োজন, সেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলতেই কমিশনের কার্যক্রম।
শনিবার (৩ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের (এনপিপি) মধ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের লক্ষ্য হলো সবাইকে সংলাপে যুক্ত করে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা, যা একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে। এ লক্ষ্যে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ প্রস্তুতের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব না হলেও রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য যেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রয়োজন, সেখানে আমরা একমত হতে পারি বলে বিশ্বাস করি।”
কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান। সংলাপে এনপিপির নেতৃত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাদের জোট ১১২টিতে একমত, ২৬টিতে দ্বিমত ও ২৮টিতে আংশিক একমত।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।