North News.live

উত্তরবঙ্গের কণ্ঠস্বর

সীমান্তে গুলি, মরদেহ এল ফিরে—কফিন ঘিরে কান্নার রোল সিংগীমারীতে

ঘাস কাটতে গিয়ে আর ফেরা হলো না হাসিবুল ইসলামের (২২)। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারানো ওই তরুণের মরদেহ অবশেষে ফিরল নিজ গ্রামে। ভারতের কোচবিহারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার, মরদেহ ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে পাটগ্রামের খারিজা জোংড়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়।

রাত গভীর হলেও পুরো গ্রামে ঘুম নেই। কফিনের পাশে ভিড় জমেছে—আত্মীয়, প্রতিবেশী, বন্ধু সবাই। সবার চোখে কান্না, প্রশ্ন—কেন?

নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানান, হাসিবুল গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন সীমান্ত ঘেঁষা জমিতে। সেই সময় বিএসএফের টহলদল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে টেনে নিয়ে যায় ভারতের ভেতরে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

রাত ২টার দিকে জানাজা শেষে হাসিবুলকে দাফন করা হয় গ্রামের কবরস্থানে। কান্নায় ভেঙে পড়েন মা, বাবা, ভাই-বোন ও গ্রামের মানুষজন।

সিংগীমারী গ্রামের হতভাগ্য সেই যুবকের মরদেহে মাথা ও মুখে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। হাসিবুল ছিলেন জাহিদুল ইসলামের ছেলে।

এই ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় ফের উদ্বেগের বাতাস। আবারও প্রশ্ন উঠে এসেছে—কতটা নিরাপদ আমাদের সীমান্ত? আর কত তরুণ প্রাণ এভাবে ঝরে যাবে?

Scroll to Top