কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে। মঙ্গলবার(২৯ এপ্রিল) উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ধ্বংসে ভারতের সংকল্প অটুট। সেনাবাহিনীর ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।”
পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। পাকিস্তানভিত্তিক ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে সরকারি সূত্র জানায়।
এ ঘোষণার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে মোদির বাড়িতে বৈঠক হয়। সেখানে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয় বলে ধারণা।
ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে—বাতিল হয়েছে সব ধরনের পাকিস্তানি ভিসা, শুধু হিন্দু ও দীর্ঘমেয়াদি অনুমতিপ্রাপ্তদের ব্যতিক্রম। ফলে ভারতে অবস্থানরত প্রায় এক হাজার পাকিস্তানি নাগরিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ভারত সিন্দু পানি চুক্তিও বাতিল করেছে, যা পাকিস্তান ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র সমতুল্য বলছে। পাল্টা পদক্ষেপে পাকিস্তানও একাধিক চুক্তি স্থগিত করেছে এবং ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করেছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, “পরবর্তী কয়েকটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।”
এদিকে মোদি আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকদের আর রেহাই দেওয়া হবে না। এবার সময় এসেছে তাদের ঘাঁটি চিরতরে গুঁড়িয়ে দেওয়ার।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।