সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগাম ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রবিবার (৩০ মার্চ) দেশের বিভিন্ন স্থানে আগাম পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার গ্রাম ও দরবার শরীফে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকায় ঈদের জামাত
সকালে ঢাকার পান্থপথের সামারাই কনভেনশন সেন্টারে মুসলিম উম্মাহ বাংলাদেশের আয়োজনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারী, শিশু ও বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
বিভিন্ন জেলার ঈদ উদযাপন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়ায় ‘জাহাগিরিয়া তরিকার’ অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, বরগুনা, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার ও চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রাম এবং মাদারীপুরের প্রায় ২৫টি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিভিন্ন দরবার শরীফ ও গ্রামের ঈদ জামাত:
মুন্সীগঞ্জ: জেলার শিলই ইউনিয়নের উত্তরকান্দি ও মাঝিবাড়ি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর: বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গার কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল শরীফের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করেন।
নোয়াখালী: কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী চারটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করেন।
চাঁদপুর: হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
শরীয়তপুর: সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদের জামাত শেষে মিষ্টি ও বিরিয়ানি খেয়ে ঈদ উদযাপন করেন।
বরগুনা: প্রায় ১৫০ বছর ধরে হযরত কাদেরিয়া চিশতিয়া তরিকার অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
গাইবান্ধা: সহিহ হাদিস সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা ছাদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
চট্টগ্রাম: মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রায় ২০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সময়ানুসারে ঈদ পালন করে আসছেন।
ঈদ উদযাপন নিয়ে বিতর্ক ও অভিমত
ঈদের নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের মতে, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলে সে অনুযায়ী রোজা রাখা ও ঈদ পালন করা উচিত। ফলে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা ঈদ উদযাপন করেন এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে উদযাপনের আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সরকারিভাবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে আগেভাগে ঈদ পালন নিয়ে প্রতিবছরই আলোচনা-সমালোচনা হয়, যা এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।