সৌদি-চীন তেলের নতুন আঁতাত: পেট্রোডলারের পতনের শুরু?
গত কয়েক দশক ধরে পেট্রোডলার ছিল বৈশ্বিক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক এক শক্তি। সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো তাদের তেল ডলারে বিক্রি করত, যার ফলে মার্কিন ডলার বিশ্বজুড়ে লেনদেনের মানদণ্ড হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সময় বদলেছে।
চীন, এখন বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক, সৌদি আরবের সঙ্গে এমন একটি অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে, যা মার্কিন আধিপত্যের জন্য একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ। ইউয়ানে তেল কেনা-বেচার যে প্রস্তাব চীন দিয়েছে, তাতে সৌদি আরব ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
এই চুক্তি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা শুধু একটি বাণিজ্যিক লেনদেন নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। পেট্রোডলারের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আর্থিক কাঠামো ভেঙে গেলে ডলারের ওপর থেকে আস্থা কমতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
চীনের ‘ডি-ডলারাইজেশন’ নীতি এবং সৌদি আরবের ভূরাজনৈতিক কৌশলের সমন্বয় বিশ্বব্যাপী একটি নতুন শক্তির ভারসাম্য গড়ে তুলছে। এতে রাশিয়া, ইরান, এমনকি আফ্রিকার কিছু দেশও যুক্ত হতে পারে—ডলারের বাইরের এক নতুন অর্থনৈতিক বলয় তৈরি করতে।