North News.live

উত্তরবঙ্গের কণ্ঠস্বর

হায়দরাবাদকে উড়িয়ে লখনৌর দুর্দান্ত জয়!

ক্রিকেট মাঠে অধিনায়কদের মনোবল এবং কৌশল বড় ভূমিকা রাখে। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক রিশাভ পান্ত এক ম্যাচের আগে যে কথাটি বলেছিলেন, তা শুধুমাত্র কথায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং মাঠে তা বাস্তবায়িতও হয়েছে। টসের সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন পান্ত। “হায়দরাবাদ যত রানই করুক, চেজ করে জিতবো,” বলেছিলেন তিনি। তার কথা যেন শোনার জন্যই ছিল, কারণ তার দল সত্যিই সেই চ্যালেঞ্জ সফলভাবে পূর্ণ করল।

রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছিল। প্রথম দিকে মনে হচ্ছিলো হায়দরাবাদের বড় স্কোর তাদের জয় নিশ্চিত করবে। তবে পান্তের লখনৌ সুপার জায়ান্টস কিছুই হালকাভাবে নেয়নি। তারা আগ্রাসী এবং পরিপক্ক খেলায় সেই লক্ষ্যটি মাত্র ১৬.১ ওভারে, হাতে ৫ উইকেট রেখে অতিক্রম করল।

লখনৌর এই দাপুটে জয়ের নেপথ্যে দুটি ব্যতিক্রমী ইনিংস ছিল। ওপেনিংয়ে নেমে নিকোলাস পুরান এবং মিচেল মার্শ ঝড়ের গতিতে রান তুলেছিলেন। পুরান, ২৬ বলে ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তার খেলায় ছিল একের পর এক দুর্দান্ত শট, যা হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণকে শাস্তি দিতে থাকে। অন্যদিকে, মার্শ ৩১ বলে ৫২ রান করে দলের জন্য অপরিহার্য অবদান রাখেন। এই দুইয়ের ঝোড়ো ব্যাটিং ছিল হায়দরাবাদের বিপক্ষে এক অপ্রতিরোধ্য জোড়া, যা লখনৌর জয়ের পথ তৈরি করে।

খেলা যখন পুরোদমে চলে, তখন লখনৌর কাছে মাত্র কিছু রান বাকি ছিল। আব্দুল সামাদ ৮ বলে ২২ রান করে দলের জয়কে দ্রুততর করে তুলেছিলেন। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লখনৌ ঠিক সেই সময় সঠিক গতিতে পৌঁছায়। মিলারও শেষদিকে ৭ বলে ১৩ রান করে মাঠ ছাড়েন, যা নিশ্চিতভাবে লখনৌর জয়ের জন্য মূল্যবান অবদান ছিল।

এদিকে, লখনৌ সুপার জায়ান্টসের জন্য এটি ছিল চলতি আইপিএলের প্রথম জয়। পান্তের নেতৃত্ব এবং দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এই জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তারা ম্যাচে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী ছিল, এবং তাদের নেতৃত্বের প্রতি সম্মান রেখেই ম্যাচে জয়লাভ করেছে। পান্তের কথাগুলো শুধুই খালি কথা নয়—আজ তা মাঠে পুরাণ ও মার্শের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পরিণত হয়েছে, যা লখনৌকে আইপিএলে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

Scroll to Top