১৪ বছর বয়স, মুখে শিশুসুলভ ছাপ। কিন্তু হাতে ব্যাট মানেই যেন বজ্র। প্রথম চার বলে দুই ছক্কা মেরে বুঝিয়ে দিল—এই নাম ‘বৈভব’, ভবিষ্যতের ভারতীয় ক্রিকেটের গর্ব হতে পারে। তবুও? সব জ্বলে-পুড়ে ছাই, কারণ জয় এল না রাজস্থানের ঘরে। শেষ ওভারে পাঁচ উইকেট হাতে রেখেও মাত্র ৯ রান তুলতে ব্যর্থ তারা! হার—মাত্র ২ রানে!
জয়পুরে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে টস হেরে বল করতে নামে রাজস্থান। লখনৌ তো ঝড় তোলে ব্যাটে—মার্করাম ৬৬ (৪৫ বলে), আয়ুশ বাদোনি ৫০ (৩৪ বলে)। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮০/৫—চ্যালেঞ্জ ছিল ভালই।
রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন চোটে খেলেননি। দলে সুযোগ পেলেন এক বিস্ময়বালক—১৪ বছর ২৩ দিন বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি। পরের ওভারে বিশাল ছক্কা! একবার কভারের ওপর দিয়ে, আরেকবার সোজা বোলারের মাথার ওপর! চোখ যেন ভুল দেখছে! প্রথম চার বলেই দুটো ছক্কা!
ক্যাচ মিস, অল্পের জন্য আউট, একাধিক বার চাপে পড়া—তবুও দমে যাননি বৈভব। ২০ বলে ৩৪ রানে থামেন এই কিশোর, মারেন ৩টি ছক্কা ও ২টি চার। শেষটা অবশ্য আবেগঘন—মার্করামের বল কভারের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং। চোখ ছলছল, হেলমেট খুলে চোখ মুছতে মুছতে ডাগআউটের পথে বৈভব—দৃশ্যটা কাঁপায় ক্রীড়ামোদীদের হৃদয়।
তবুও রাজস্থান এগোচ্ছিল ভালই। ৮৫ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। হেটমায়ার তখন ক্রিজে, হাতে ৫ উইকেট। দরকার মাত্র ৯ রান, ৬ বল। কিন্তু তখনই এল আবেশ ঝড়! হেটমায়ারকে ফিরিয়ে দিলেন, মাত্র ৫ রান দিলেন ওভারে। ম্যাচ বের করে নিল লখনৌ। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট—আবেশ খান ম্যাচসেরা।
বৈভবের স্বপ্নের মতো শুরু, কিন্তু জয় নয়—স্মৃতিতে রয়ে গেল চোখের জল, আর সেই ২ রানের হাহাকার।