“২৬ মার্চ: স্বাধীনতার গৌরবময় সূচনা ও আজকের শপথ”

২৬ মার্চ— ক্যালেন্ডারের গর্বিত এক দিন। আজকের দিনটিতেই লাল-সবুজের পতাকা হাতে বীর বাঙালি এক ঐতিহাসিক যুদ্ধের সূচনা করেছিল। লাখো প্রাণের আত্মত্যাগ, সীমাহীন সাহস আর অমর বীরত্বের বিনিময়ে এসেছে সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের এই দিনটি আজও একইভাবে স্বাধীনতার জ্বলন্ত চেতনাকে উজ্জীবিত করে তোলে। ৫৪ বছর পেরিয়েও স্বাধীনতার সেই উত্তাল দিনের রোমাঞ্চ যেন আজও প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে দগদগে হয়ে আছে।

মহা স্বাধীনতা দিবস শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়, এটি একটি জাতির জন্মের গল্প, একটি জাতির আত্মমর্যাদার প্রতীক।

আজকের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে নানা ধরনের কর্মসূচি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং দেশের আপামর জনসাধারণ। দেশের প্রতিটি প্রান্তে উত্তোলিত হয়েছে লাল-সবুজের বিজয়ের পতাকা। শিশুদের হাতে ছোট ছোট পতাকা, পথে পথে মিছিল আর স্বাধীনতার গান বেজে উঠেছে শহর থেকে গ্রামে।

আজকের দিনে স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্বের কথা। আমাদের অর্জিত স্বাধীনতার মূল্য ছিল বিপুল। তাই এই স্বাধীনতাকে শুধুমাত্র উদযাপন নয়, রক্ষা করাও আমাদের কর্তব্য। দেশকে গড়তে, সামনের দিকে এগিয়ে নিতে, দুর্নীতি, বৈষম্য আর সাম্প্রদায়িকতার চক্র থেকে বেরিয়ে সত্যিকারের একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রত্যেক বাঙালির দায়িত্ব নিতে হবে।

স্বাধীনতার অর্থ কেবলমাত্র উদযাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। স্বাধীনতা মানে স্বাধীন চিন্তা, স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। একটি সত্যিকারের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। বিভেদ নয়, ঐক্যই হতে পারে আমাদের মুক্তির পথ।

আজকের মহা স্বাধীনতা দিবসে আসুন প্রতিজ্ঞা করি—আমরা আমাদের মহান শহীদদের স্বপ্নের সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে থাকবে না দারিদ্র্য, থাকবে না দুর্নীতি, থাকবে কেবল মানবিকতা, সম্প্রীতি আর সমানাধিকারের বার্তা।

স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে এগিয়ে চলুক বাংলাদেশ—একটি সোনালী ভবিষ্যতের পথে।