North News.live

উত্তরবঙ্গের কণ্ঠস্বর

৫০ দিনে লাখ টাকার শশা! জয়পুরহাটের প্রান্তিক কৃষকদের জীবনে বদলে দিচ্ছে গোপালপুর হাট

ছবি: সংগৃহিত

সুজন কুমার মন্ডল,প্রতিবেদক জয়পুরহাট। জয়পুরহাট জেলার ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে বসেছে দেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শশার পাইকারি হাট। এখান থেকেই প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে টাটকা ও উন্নতমানের শশা। দেশীয় পদ্ধতিতে উৎপাদিত এই শশাগুলো স্বাদে-গুণে অতুলনীয় হওয়ায় রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের নানা জেলায় দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

পাইকারি বাজারে শশা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে, আর খুচরা বাজারে মিলছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এই শশা চাষে খরচ কম ও সময় কম লাগে—মাত্র ৫০ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়, এবং খুব বেশি পরিচর্যারও দরকার পড়ে না।

গোপালপুর বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন পাইকার শশা কিনে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে হামিদুর রহমান ছানা, জামিল হোসেন, সেলিম, কাওসার আহমেদ ও ফরহাদ জানান, প্রতিদিন এখান থেকে ৪০ থেকে ৪২টি ট্রাকভর্তি শশা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা জায়গায় পাঠানো হয়।

এবার শশা চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। পাশের ফরিদপুর গ্রামের আজাদুল ইসলাম ১০ কাঠা জমিতে শশা চাষ করে এরইমধ্যে ৩০ হাজার টাকার শশা বিক্রি করেছেন। গোপালপুর গ্রামের তারাজুল ইসলাম ১ বিঘা জমিতে চাষ করে ৫৫ হাজার টাকার শশা বিক্রি করেছেন, এবং আরও প্রায় ৩০ হাজার টাকার শশা জমিতেই আছে বলে জানিয়েছেন। কোঁচকুড়ি গ্রামের মুকুল হোসেন দেড় বিঘা জমিতে চাষ করে ইতোমধ্যে ৮০ হাজার টাকার শশা বিক্রি করেছেন।

মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকলেও শশার দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবছর জয়পুরহাটে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে শশা চাষ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স.ম মেফতাহুল বারি জানান, গোপালপুরের শশা স্বাদে ও মানে ভালো হওয়ায় এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। কম সময়ে ভালো আয় হওয়ায় শশা চাষে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ ক্রমাগত বাড়ছে।

 

Scroll to Top