তানোরে বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা, আর তাদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে ফলন এবং বাজারের দাম। কৃষকদের কাজ শুরু হচ্ছে ভোরে, তবে প্রচন্ড রোদে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত কেবল ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে। দুপুর ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত রোদের তাপে মাঠে কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে, কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটার কাজ চলতে থাকে।
এ অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি জমির ধান পেকে গেছে এবং মাঠে কাজ করছেন বহু শ্রমিক। শ্রমিকরা জমির ধান কেটে মাথায় বা ভারে করে সড়কে এনে রাখছেন। এ সময়, কৃষকরা গাছের নিচে বসে শরীর শীতল করার চেষ্টা করছেন, কারণ রোদের তাপ খুবই তীব্র। দিনের বেলা রাস্তায় যানবাহন চলাচল কমে যাচ্ছে, তবে ধান কাটা শ্রমিকরা রোদের মধ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এই বছরের ফলন ভালো হবে বলে তারা আশা করছেন। ধান কাটার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা এসে পৌঁছেছেন, তাদেরই ওপর নির্ভর করছে কাজ। বিশেষত তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপি, কামারগাঁ ইউপি, এবং বিভিন্ন গ্রামে বোরো ধান কাটার কাজ চলছে।
তানোরের কৃষক আলী হোসেন জানিয়েছেন, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ বিঘা জমি থেকে ৮৮ মন ফলন পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তার নিজের জমির জন্য রোপণ থেকে মাড়াই পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ হবে।
তানোর উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমি, কিন্তু চাষাবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৭০ হেক্টর জমিতে কম বোরো চাষ হয়েছে, তবে বাকি জমিগুলোর ফলন ভালোর দিকে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানিয়েছেন, এবারের বোরো চাষের আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে কৃষকরা সময়মতো রোপণ এবং উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মাঠ কর্মীদের সঠিক পরামর্শে ধান ক্ষেতের রোগবালাইও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আশা করছেন, এ বছরও বিলের জমিতে ভালো ফলন হবে।