ছবি: সংগৃহিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় চরম খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাণ হারাতে পারে প্রায় ১৪ হাজার শিশু—এমন ভয়াবহ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন এতটাই সংকটজনক যে এক মুহূর্ত দেরি মানেই হাজারো শিশুর জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।
ইসরাইলি অবরোধের ফলে গাজার প্রায় ২৪ লাখ মানুষ বর্তমানে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। গত ১০ সপ্তাহ ধরে গাজায় কোনো পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপ ও মানবিক সংকটের চাপে পড়ে ইসরাইল গত ১২ মে সামান্য সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়।
কিন্তু ফ্লেচার জানান, প্রতিদিন যেখানে অন্তত ৫০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন, সেখানে গত সোমবার (১৯ মে) ইসরাইল মাত্র ৫টি ট্রাক ঢুকতে দেয়। যা প্রয়োজনের মাত্র ১ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা মরুভূমিতে এক ফোঁটা পানি ফেলার মতো।”
তিনি আরও জানান, শিশু খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার নিয়ে বহু লরি গাজার সীমান্তে অপেক্ষায় থাকলেও, সেগুলো এখনো গাজাবাসীর কাছে পৌঁছায়নি।
টম ফ্লেচারের সতর্কবাণী, “আমরা যদি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ গাজায় পৌঁছাতে না পারি, তাহলে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মারা যাবে। আমি মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছি, যেন তাদের অন্তত কিছুটা হলেও বাঁচানো যায়।”
প্রশ্ন উঠেছে—এই সংখ্যা কোথা থেকে এসেছে? উত্তরে ফ্লেচার জানান, জাতিসংঘের একটি শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল এখনো কাজ করছে, যদিও বহু কর্মী আগেই নিহত হয়েছেন। তারা হাসপাতাল, স্কুলসহ নানা স্থানে থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন।
