যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা ছোট ছোট জিনিস যেমন টি-শার্ট, মোজা বা স্নিকার্স তৈরি করতে চায় না। বরং দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম, যেমন ট্যাংক, যুদ্ধজাহাজ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি উৎপাদনে জোর দিচ্ছে তারা।
সোমবার (২৬ মে) রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, ট্রাম্পের শুল্কনীতি বা ট্যারিফ আরোপের মূল লক্ষ্য হলো দেশেই সামরিক ও উচ্চ প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো, যেখানে ছোটো পোশাক বা জুতার মতো পণ্যের কোনো স্থান নেই।
নিউ জার্সি থেকে এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে ট্রাম্প বলেন,
“আমরা টি-শার্ট বা মোজা বানাতে চাই না। আমরা এমন কিছু বানাতে চাই যা বড়, গুরুত্বপূর্ণ—যেমন কম্পিউটার চিপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যন্ত্র, ট্যাংক আর জাহাজ।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা বড় জিনিস তৈরি করতে চাই। আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজ করতে চাই।”
আগে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল টেক্সটাইল শিল্প থাকা দরকার নেই। তবে এ মন্তব্যের পর ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশন্স’ নামের একটি সংগঠন কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।
অন্যদিকে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) সতর্ক করেছেন, শুল্ক নীতি বাস্তবায়িত হলে আমেরিকান ভোক্তাদের ওপর ব্যয় বাড়বে। এএএফএর প্রেসিডেন্ট স্টিভ ল্যামার বলেন,
“আমরা যে জামাকাপড় ও জুতা পরি, তার ৯৭% আমদানি করা হয় এবং এই খাত ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি শুল্কের আওতায় রয়েছে। আরও শুল্ক মানে আমেরিকান নির্মাতাদের খরচ বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের পণ্যের দাম বাড়বে।”
সংক্ষেপে, ট্রাম্পের লক্ষ্য দেশীয় সামরিক ও উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে আমেরিকার নিরাপত্তা ও অর্থনীতি শক্তিশালী করা।