
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ। পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ঘটল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা—মাত্র পাঁচ মাসের কন্যাশিশু সোহাগীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে। গুনাইগাছা মণ্ডলপাড়া গ্রামের শ্রাবন্তী মণ্ডলকে পুলিশ রবিবার (১ জুন) সকালে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে, এবং পরবর্তীতে তিনি নিজেই স্বীকার করেন মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন।
ঘটনার শুরু শনিবার সকাল ৯টার দিকে, যখন বড়াল নদ থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মা শ্রাবন্তী তখন নিজেই থানায় গিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন এবং দাবি করেন, “সোহাগীকে বারান্দায় রেখে বাইরে খড় আনতে গিয়েছিলাম, ফিরে এসে দেখি মেয়ে নেই। পরে নদীর পাশে মরদেহ খুঁজে পাই।”
তবে ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশের একটি টিম, সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তারের নেতৃত্বে। নানা তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয় শিশুর মা শ্রাবন্তী মণ্ডলকে।
জিজ্ঞাসাবাদে অবশেষে ভেঙে পড়েন শ্রাবন্তী। পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেন—তিনি নিজেই কোলের সন্তানকে নদীতে ফেলে দেন, তারপর অভিনয় করেন হতভাগা মায়ের!
এখনো জানা যায়নি কী এমন মানসিক চাপ বা পরিস্থিতি ছিল যা একজন মাকে নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে এত ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করল।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শ্রাবন্তী, এবং বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।