
নিউজ ডেস্ক,নর্থ নিউজ ডট লাইভ।
আজ বৃহস্পতিবার, ৮ জিলহজ, বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ—পবিত্র হজ পালিত হচ্ছে সৌদি আরবের পবিত্র আরাফার ময়দানে। ভোর থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ২৫ লাখ মুসল্লি সেখানে জড়ো হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ৮৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী।
হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে হাজিরা আজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন এবং ইবাদত, জিকির-আসকার ও দোয়ার মাধ্যমে সময় কাটাবেন। এ সময় মসজিদে নামিরায় জোহরের নামাজের আগে হজের খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের খতিব ও সৌদি সিনিয়র ওলামা পরিষদের সদস্য ড. শায়খ সালেহ বিন হুমায়েদ।
হজের খুতবা বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হচ্ছে। বাংলা অনুবাদ করছেন চার বাংলাদেশি আলেম—ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান ও নাজমুস সাকিব। এরা সকলেই মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন।
আরাফায় অবস্থান শেষে মাগরিবের আযানের পর হাজিরা মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করে সারা রাত অবস্থান করবেন। একইসাথে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য সেখান থেকেই সংগ্রহ করবেন ৭০টি কংকর।
১০ জিলহজ মিনায় পৌঁছে হাজিরা পর্যায়ক্রমে চারটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করবেন—
শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ,
কোরবানি প্রদান,
মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা,
তাওয়াফে জিয়ারত।
এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে বড়, মাঝারি ও ছোট জামারায় পাথর নিক্ষেপ করবেন। শেষ ধাপে, কাবা শরিফে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
এদিকে, হজ চলাকালীন সৌদি আরবে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা হাজিদের জন্য বেশ ভোগান্তির কারণ হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ।
পবিত্র মক্কা নগরীতে অনুমতিপত্র ছাড়া প্রবেশ চেষ্টাকালে প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, হজ ব্যবস্থাপনার মনিটরিংয়ের জন্য বর্তমানে মিনায় অবস্থান করছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। তাঁরা সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে হজ কার্যক্রম তদারক করছেন।